সহজে বই পড়ার অভ্যাস গড়ার উপায়
যদি বই পড়ার অভ্যাস আপনার না থাকে, তবে কঠিন কোনো বই দিয়ে শুরু করবেন না। এটি আপনার জন্য একধরনের চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং আপনি খুব দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
কীভাবে শুরু করবেন?
১. নিজের পছন্দের বিষয় বেছে নিন:
আপনার যেসব বিষয়ে আগ্রহ আছে, সেগুলো নিয়ে লেখা সহজ ভাষার বই পড়া শুরু করুন। যেমন: গল্পের বই, প্রেরণামূলক বই, হালকা উপন্যাস।
২. ছোট বই দিয়ে শুরু করুন:
ছোট এবং সহজ বই দিয়ে শুরু করা ভালো। এতে পড়া শেষ করার আনন্দ পাবেন এবং আগ্রহ আরও বাড়বে।
৩. নিয়মিত সময় দিন:
প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট সময় বের করে বই পড়ার চেষ্টা করুন। সময়টা বেশি হওয়ার দরকার নেই, শুধু ধারাবাহিকতা রাখুন।
৪. অবশ্যই আগ্রহকে প্রাধান্য দিন:
প্রত্যেকটা বই ভালো লাগবে—এমন কোনো কথা নেই। যদি একটি বই পড়তে ভালো না লাগে, তবে সেটি বাদ দিন এবং অন্য বই বেছে নিন।
৫. বন্ধু বা গ্রুপ তৈরি করুন:
বইপ্রেমীদের একটি গ্রুপে যুক্ত হন। তাদের থেকে বইয়ের পরামর্শ নিন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।
NB:
শুরুতেই যদি কঠিন ভাষার বা অতি গভীর বিষয় নিয়ে লেখা বই পড়া শুরু করেন, যেটিতে আপনার আগ্রহ কম, তবে এটি আপনার মধ্যে বই পড়ার প্রতি অনীহা তৈরি করবে। সঠিক পদ্ধতিতে শুরু করলে এটি একসময় অভ্যাসে পরিণত হবে।
বই পড়া একটি চমৎকার অভ্যাস, কিন্তু এটি গড়ে তুলতে সময় এবং ধৈর্য প্রয়োজন। ছোট ছোট পদক্ষেপে শুরু করুন, নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন, এবং ধীরে ধীরে এটি আপনার জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠবে।
প্রতিদিন তিন ধরনের বই পড়ার অভ্যাস
প্রতিদিন তিন ধরনের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে আপনি মানসিক, পেশাগত, এবং আধ্যাত্মিক—তিন ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ হতে পারবেন।
১. আপনার স্কিল রিলেটেড বই
- কেন পড়বেন?
আপনার পেশাগত দক্ষতা এবং ক্যারিয়ার উন্নত করতে এই বইগুলো সাহায্য করে। - উদাহরণ:
- প্রোগ্রামিং, ডিজাইন, মার্কেটিং, লিডারশিপ বা যেকোনো কাজের স্কিল নিয়ে লেখা বই।
- যদি আপনি ওয়েব ডেভেলপার হন, তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে লেখা বই বা কোডিং রিলেটেড বই পড়ুন।
২. মোটিভেশনাল বই
- কেন পড়বেন?
জীবনের কঠিন সময়ে এগিয়ে যেতে এবং নিজেকে অনুপ্রাণিত রাখতে মোটিভেশনাল বই অত্যন্ত কার্যকর। - উদাহরণ:
- জেমস ক্লিয়ার-এর Atomic Habits, রিচার্ড কার্লসন-এর Don’t Sweat the Small Stuff, বা রবিন শর্মা-এর The Monk Who Sold His Ferrari।
- এগুলো আপনার চিন্তার জগৎকে সমৃদ্ধ করে এবং সাহস জোগায়।
৩. আপনার ধর্মীয় বই
- কেন পড়বেন?
আধ্যাত্মিক শান্তি এবং নৈতিক গুণাবলি উন্নত করতে ধর্মীয় বই গুরুত্বপূর্ণ।- যদি আপনি মুসলিম হন, তাহলে প্রতিদিন কিছু সময় কোরআন এবং হাদিসের জ্ঞান অর্জনে ব্যয় করুন।
- এতে জীবনযাপন এবং নৈতিকতাকে উন্নত করার দিকনির্দেশনা পাবেন।
- উদাহরণ:
সহীহ বুখারি, সহীহ মুসলিম, বা নির্দিষ্ট কোনো তাফসিরের বই।